– খবরদার, মুখ সামলে কথা বলেন, জানেন আমি কে? আমার ভয়ে বাঘে গরুতে একঘাটে পানি খায়।
– আর আমি কে জানেন? ঐ যে ঘাটটায় বাঘ-গরু পানি খায় ঐ ঘাটটা আমার।
Tag archives for গরু
ঘাটটা আমার
খাঁটি গরুর দুধ
গৃহকর্তাঃ খাঁটি গরুর দুধ বলে তো দিলে। বাড়ি নিয়ে তো দেখি অর্ধেকটাই পানি।
গোয়ালাঃ গরুটা খাঁটি বলেছি, দুধ তো খাঁটি বলি নি।
গরু অবশ্য বাঁধা ছিল
জেলখানায় সদ্য কয়েদিকে জেলার জিজ্ঞেস করলেন, কী অপরাধে তুমি এখানে এসেছ?
– এক টুকরো, ধরুন এই হাত চারেকের মতো দড়ি চুরির অপরাধে।
– এক টুকরো দড়ি চুরির অপরাধে তোমার এক বছরের জেল হয়ে গেল! এ হতে পারে না।
– দড়ির মাথায় একটা গরু অবশ্য বাঁধা ছিল।
গরুর জন্য মামলা
স্টেশন মাস্টার তাঁর ঊর্ধ্বতন অফিসারের কাছে গেলেন।
– স্যার, আবার একজন কৃষক তার গরুর জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
– আমাদের কোন ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে কোন গরু নিশ্চয়ই মারা গেছে?
– না স্যার, কৃষকটি দাবি করেছে, আমাদের ট্রেনগুলো এত আস্তে যায় যে, যাত্রীরা মাঠে চড়তে থাকা তার গরুগুলোর দুধ দুইয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
বস ও কর্মচারী
মহাসড়ক ধরে ছুটে যাচ্ছিল দুটি গাড়ি। একটির চালক অফিসের বস, অন্যটি চালাচ্ছিলেন অফিসের এক কর্মচারী। চলতে চলতে বস একসময় চেষ্টা করছিলেন কর্মচারীর গারিটি ওভারটেক করে সামনে চলে যেতে। কর্মচারী গারির জানালা দিয়ে মাথা বের করে চিৎকার করে বললেন, ‘গরু!’
শুনে রেগে আগুন হলেন বস!
তিনিও জানালা দিয়ে মাথা বের করে , ‘কত ভর সাহস! তুমি আমাকে গরু বললে? তুমি একটা ছাগল, গাধা, বেয়াদব…’ বলতে বলতেই রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি গরুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পাশের ধানক্ষেতে ছিকটে পড়লেন।
এ গল্প থেকে আমরা যা বুঝলামঃ বসরা কখনোই কর্মচারীদের কথা আমলে নেন না।
লোকসান কার
বাজারে ভাল দাম না পাওয়ায় বলদ বিক্রি না করেই কৃষক তার বলদটাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছে। এদিকে বলদ বিক্রির টাকা ছিনতাই করতে পথে ঘাপটি মেরে বসেছিল এক ছিনতাইকারী।
ছিনতাইকারীঃ কী ব্যাপার, বলদ বিক্রি না করেই ওটাকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে এলে যে?
কৃষকঃ ভাল দাম ওঠেনি তাই।
ছিনতাইকারীঃ দম দামেও তো বিক্রি করতে পারতি।
গরু কী দেয়
স্যার ছাত্রকে প্রশ্ন করছে।
স্যারঃ মিঠু, বলতো গরু আমাদের কী দেয়?
মিঠুঃ গরু? গরু আমাদের গুতো দেয়!!
জেলখানা
জেলখানায় দুজন কয়েদীর কথা হচ্ছিল। প্রথম কয়েদী জিজ্ঞাসা করলো, “ভাই তুমি কী অপরাধ করে এসেছ?”
দ্বিতীয় কয়েদীঃ একটা দড়ি চুরি করার অপরাধে।
প্রথম কয়েদীঃ এ কখনও হতে পারে না।
দ্বিতীয় কয়েদীঃ এটাই হয়েছে ভাই। কারণ দড়িটার অন্য দিকে একটা গরু বাঁধা ছিল।
গরুর রচনা
মাস্টার সাহেব ক্লাসে একশো শব্দে ‘গরু’ সম্বন্ধে রচনা লিখতে দিয়েছেন। এক ছেলে চটপট খাতা এগিয়ে দিল। অবাক বিস্ময়ে রচানাটি পড়লেন মাষ্টার সাহেব। ছেলেটি লিখেছে – আমার আব্বা পাশের গ্রাম থেকে একটা গরু কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। আমি তাঁর সঙ্গে ছিলাম। পথে গরুটি আব্বাকে গুঁতিয়ে দিতে তিনি গালাগালি করতে লাগলেন। (এ পর্যন্ত পঁচিশটি শব্দ হল) মাষ্টার সাহেব, বাকি পঁচিশটি শব্দ হল বাবার সেই গালাগালির শব্দ, যা মুখে আনতে পারছি না, লেখা তো দূরের কথা।
গরুর রচনা
গরুর রচনা লেখার আগে শিক্ষক অনেকগুলো পয়েন্ট বললেন। সবাই তা বুঝতে পেরেছে কি না সেটা বোঝার জন্যে তিনি একটা ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন, “আচ্ছা, তোমার পায়ে কী?”
ছাত্রঃ জুতো স্যার।
স্যারঃ জুতো কি থেকে তৈরি হয়?
ছাত্রঃ চামড়া থেকে।
স্যারঃ চামড়া কোথায় পাওয়া যায়?
ছাত্রঃ গরুর গা থেকে।
খুশি হয়ে উঠলেন স্যার ছাত্রের জবাবে। এবং প্রশ্ন করলেন, “এখন বল দেখি কোন সে জীব যে তোমাদের পায়ের জুতো জোগায়, আবার খাবার জিনিসও সরবরাহ করে? ছাত্রের জবাব, “আমার বাবা স্যার।”