প্রথম প্রতিবেশীঃ এখানকার পরিবেশ যাচ্ছেতাই। আমরা অন্যত্র চলে যাচ্ছি।
দ্বিতীয় প্রতিবেশীঃ তাই যান, আপনারা চলে গেলে আমরাও একটা ভাল পরিবেশ পাব।
Archives for প্রতিবেশী
পরিবেশ
গর্বিত পিতা ও প্রতিবেশীর ছেলে
গর্বিত পিতাঃ আমার ছেলে এম.বি.বি.এস পাশ করেছে। শিগগিরই ও একটা নার্সিং হোম খুলবে। কিন্তু তুমি কিছু না করে এমন টই টই করে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছ কেন?
প্রতিবেশীর ছেলেঃ আমি তো আপনার ছেলের নার্সিং হোম খোলার অপেক্ষাতেই আছি। ওর নার্সিং হোমের পাশেই আমি একটা মড়া পোড়ানোর চুল্লি বসাব বলে ঠিক করেছি।
একটু ঘুমাতে চাই
পাড়ার এক তবলাবাদককে গিয়ে এক প্রতিবেশী বলল, আপনার তবলাটা আত রাতের জন্য আমাকে একটু দেবেন?
– নিশ্চয়ই দেব, কেন নয়? কোনো জলসায় বাজাবেন বুঝি?
– না, আজ রাতে একটু ঘুমাতে চাই।
নতুন নাটক
নাট্যকার তার প্রতিবেশীকে বললেন, আমার লেখা নতুন নাটকটা দেখেছেন? ওটাতে এক দম্পতির মনোমালিন্যঘটিত সমস্যা রয়েছে।
প্রতিবেশী বললেন, নাটকটা দেখার দরকার কী? ওটার রিহার্সেল তো রোজই আপনার বাড়িতে শুনছি।
ভর দুপুরে সন্ধ্যা
এক প্রতিবেশীর সাথে দেখা হল আরেক প্রতিবেশীর।
– শুভ সন্ধ্যা।
– সন্ধ্যা মানে? এই ভর দুপুরে বলছেন শুভ সন্ধ্যা?
– আমি খুবই দুঃখিত। কিন্তু কী করব বলুন, আপনাকে দেখলেই আমার চারপাশে সব অন্ধকার হয়ে আসে যে।
কুকুর, মামলা ও ট্রেন
– আপনার কুকুরটা আমাকে স্টেশন পর্যন্ত তাড়া করেছিল আজ। আমি আপনার নামে মামলা করব।
– এজন্য তো আপনাকে কৃতজ্ঞ প্রকাশ করা উচিৎ।
– কেন?
– কুকুরটা তাড়া না করলে আপনি ট্রেনটা ধরতে পারতেন না।
জামাই আর পুত্রবধূ
এক বৃদ্ধা পাশের বাড়ির মহিলার কাছে তাঁর মেয়ের জামাই আর পুত্রবধূর কথা বলছিলেন।
– মেয়ের জামাই আমার খুবই ভালো। প্রতি সকালে মেয়ের জন্য নাস্তা বানিয়ে বিছানায় নিয়ে আসে। অফিস থেকে ফিরে আবার রান্নাঘরে ঢুকে। রাতে বিছানায় মশারিটাও খাটায় জামাই। জামাই আমার মেয়েকে বড় সুখে রেখেছে।
– আর ছেলের বউ কেমন?
– বউটার কথা আর বলবেন না। আলসের এক শেষ। ডাইনি আমার ছেলের হাড়-মাংস জ্বালিয়ে খেল। সকালে ঘুম থেকে ওঠে দশটার সময়। উঠার সাথে-সাথে ছেলে গিয়ে বেড-টি দিয়ে আসে। তারপর আবার সকালের নাশতা দিতে হয়। অফিস থেকে ক্লান্ত হয়ে ফেরার পরও নিস্তার নেই। রান্নাঘরে ঢুকতে হয়। ছেলের হোম-ওয়ার্ক দেখিয়ে দিতে হয়। আর নবাবজাদি পায়ের উপর পা তুলে বসে টিভি দেখে না হয় ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা গল্প করে।
কিপটে প্রতিবেশী
প্রতিবেশীঃ ছেলেটাকে এমন মারছেন কেন?
ছেলের বাবাঃ মারব না? বলেছিলাম সিঁড়ি দিয়ে চার তলা ওঠার সময় একটা করে সিঁড়ি ছেড়ে উঠবি। তাতে চটিজোড়া কম ক্ষয় হবে। তা উনি আবার এক কাঠি উপরে, দুটো করে সিঁড়ি ছেড়ে উঠতে গেছেন।
– ভালোই তো হয়েছে, চটি আরো কম ক্ষয় হয়েছে।
– তা হয়েছে কিন্তু নতুন প্যান্টটিকে ফাঁসিয়ে এনেছে।
নিজের গরজেই আসে
– অবাক কাণ্ড! আপনাদের বাড়িত ঠিকে ঝি এত ভোরেই চলে আসে? আমারটাতো আটটার আগে দেখাই যায় না। কিছু বললে বলে, অন্য লোক দেখেন, আমি পারব না।
– অনেক বুদ্ধি খাটাতে হয়েছে ভাই। শেষে ওর সঙ্গে আমাদের ছোকরা গোয়ালার পরিচয় করিয়ে দিলাম। এখন নিজের গরজেই আসে।
প্রতিবেশীর কুকুর গাড়ি চাপা
গাড়ি চালাতে গিয়ে এক লোক তার প্রতিবেশির প্রিয় কুকুর গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলে। সে কী করবে বুঝতে না পেরে প্রতিবেশির স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে, “দেখুন, আমি আপনার স্বামীর প্রিয় কুকুরটাকে মেরে ফেলেছি। এটা আমি তার কাছে স্বীকার করবো ভাবছি।’
– না
– স্বীকার করব না?
– না, তা করুন, কিন্তু কুকুরটা ওর এতই প্রিয় যে শোকটা সে যাতে সামলে উঠতে পারে সেভাবে বলতে হবে…
– কী রকম?
– প্রথমে বলুন আপনি ওর ছোট ছেলেটাকে চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছেন!